আমেরিকালিড নিউজ

গ্রিনল্যান্ড কিনতে অনড় ট্রাম্প

এবিএনএ: সত্যিই গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট! তাঁর মতে, এই ‘ডিল’ রিয়েল এস্টেট ব্যবসার দিক থেকে দেখলে অত্যন্ত লাভজনক। গত সপ্তাহে তাঁর এই ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে আসে। সে সময় অনেকের মনেই সংশয় তৈরি হয়েছিল এই খবরের সত্যতা নিয়ে। তবে নিউ জার্সি থেকে ওয়াশিংটন ফেরার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও জানিয়ে দিলেন, তিনি সত্যিই খনিজ সম্পদে ভরপুর এই দ্বীপ কিনতে চান।

এককালে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে আসার পর দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসি-ঠাট্টা করছেন অনেকে, শুরু হয়েছে মীমের লড়াই-ও। কিন্তু, গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্কের বাসিন্দা ও প্রশাসনের কাছে বিষয়টি একেবারেই হাসির নয়। ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবে তাঁরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ।

গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের অধীনে হলেও তাদের স্বায়ত্তশাসন রয়েছে। পৃথক সরকার তথা পার্লামেন্ট রয়েছে। রবিবার গ্রিনল্যান্ডে গিয়েছিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসেন। ট্রাম্পের ‘ইচ্ছা’ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রি নেই। আর গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের সম্পত্তিও নয়। গ্রিনল্যান্ড এখানকার মানুষের। আমি এখনও আশা করি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মস্করা করেই এমন মন্তব্য করেছেন।’ একই কথা গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরও।

ঘটনা হল, ট্রাম্পই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নন যিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ১৯৪৬ সালেও আমেরিকা এই দ্বীপ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল, সে বারও ডেনমার্ক তা খারিজ করে দিয়েছিল। আসলে এই দ্বীপে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে রেডার ও সেন্সর বসানো আছে। মহাকাশে নজর রাখার জন্যও এই দ্বীপকে ব্যবহার করে তারা। ফলে, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা আমেরিকার কাছে গুরুত্বের বিষয়। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে সে কথা বলে ট্রাম্প বিতর্ক বাধালেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button