পুতিনের ফোনে মোদিকে বার্তা: ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ভারতের ভূমিকাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরই মোদিকে ফোন করেন পুতিন, শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক উঠে আসে আলোচনায়


এবিএনএ: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। সোমবারের এই ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ, শান্তি প্রক্রিয়া এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল।
এর আগে মাত্র কয়েকদিন আগে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুতিন। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, মোদি আলোচনায় ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন—এই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান অত্যন্ত জরুরি এবং ভারত সবধরনের শান্তি প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে মোদি-পুতিন ভবিষ্যতেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ মোদি লিখেছেন, “বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় কৃতজ্ঞ। ভারত সবসময়ই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে এবং এ সম্পর্কিত সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এসেছে।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতেও দুই দেশের মধ্যে এই ধরনের কূটনৈতিক আলাপচারি অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, দশ দিন আগেও মোদি-পুতিনের ফোনালাপ হয়েছিল, যেখানে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপ নিয়ে আলোচনা হয়।
মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, ভারত রাশিয়া থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে এবং এর মাধ্যমে রাশিয়ার তহবিল ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। এর জবাবে ভারত জানায়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জ্বালানি চাহিদা ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুতিন-মোদি ফোনালাপের সময়ই খবর এসেছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শিগগিরই হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যদিও আলাস্কার তথাকথিত ‘শান্তি সম্মেলনে’ তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এবার বৈঠকে জেলেনস্কির পাশে থাকবেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।