দুর্গাপূজায় ভারতে যাবে ১২শ টন ইলিশ, ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করল সরকার
বাংলাদেশ থেকে এবারও পূজার আগে ভারতে রপ্তানি হবে ইলিশ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি


এবিএনএ: প্রতিবছরের মতো এবারও দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালে পূজার জন্য এক হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। তার আগেই পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশি ইলিশ পৌঁছাবে। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রপ্তানিকারকদের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনের সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর ও ভ্যাট সার্টিফিকেট, ইআরসি, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।
প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে আবেদন করেছে, তাদেরও নতুন করে আবেদন দাখিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সময় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম চালান পাঠানো হয়েছিল ছয় ডলার কেজি দরে। পরে মূল্য বাড়তে বাড়তে কেজিপ্রতি ১০ ডলারে দাঁড়ায়।
গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অনুমোদিত পরিমাণের তুলনায় কম ইলিশ রপ্তানি হয় ভারতে। উদাহরণস্বরূপ, গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৯৫০ টনের অনুমোদন থাকলেও ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৮০২ টন।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত ইলিশের পরিমাণ মোট উৎপাদনের তুলনায় খুবই সামান্য। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই মাছের চাহিদা সবসময়ই থাকে ব্যাপক। এ কারণে দুর্গাপূজার সময় ইলিশ রপ্তানি নিয়ে প্রতিবছরই দুই দেশের বাজারে বাড়তি আগ্রহ দেখা যায়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন ইলিশ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল প্রায় ৩৯ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৯৯ টনে, আয় হয় ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এরপরও ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে আসছে বাংলাদেশ।
এবারও দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ভারতে ১২শ টন ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।