স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পর ৪ খাতকে এগিয়ে নিতে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি
চামড়া, পাট, কৃষি ও ওষুধ শিল্পের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ১৫ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন


এবিএনএ: বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। এই উত্তরণকে সামনে রেখে দেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ খাত—চামড়া, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস—এর রপ্তানিযোগ্য সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি।
মঙ্গলবার অর্থ বিভাগের মনিটরিং সেল থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এলডিসি স্ট্যাটাস হারানোর পর থেকে বাংলাদেশ আর রপ্তানিনির্ভর ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দিতে পারবে না। ফলে এসব গুরুত্বপূর্ণ খাতকে টিকিয়ে রাখতে বিকল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অর্থ বিভাগের উদ্যোগে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির পর্যালোচনায় ভিত্তি করে সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব।
কমিটিতে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ ও বাণিজ্য সচিব, কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, বিএসটিআই, বিসিক, ড্রাগ অ্যাডমিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং এফবিসিসিআই-এর প্রতিনিধিরা।
এই কমিটির মূল কাজ হবে—বিদ্যমান প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশগুলোর মধ্যে কোনটি বাস্তবায়নযোগ্য তা নির্ধারণ, বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমাসহ পরিকল্পনা তৈরি, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম মূল্যায়ন এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
তাছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী, বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন কোনো প্রণোদনা বা সুবিধার সুপারিশও করতে পারবে এই কমিটি।
দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে, এই চার খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার দিকেই এখন নজর সরকারের।