যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় রক্তপাত থামেনি: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩১৮, আহত শতাধিক
চুক্তি ভঙ্গ করে বারবার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, ধ্বংসস্তূপে আটকা অসংখ্য মানুষ


এবিএনএ: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইতস্তত হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। মৃতদেহের সারি যেন আরও দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিদিনই। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩১৮ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও ইসরায়েল বারবার সেই চুক্তি ভঙ্গ করে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় হাসপাতালগুলোতে আরও সাতটি মরদেহ আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৮ জনে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন, ফলে যুদ্ধবিরতির পর সর্বমোট আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৮৮ জনে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অসংখ্য মানুষ আটকা রয়েছেন। উদ্ধারকারী দল হামলা ও নিরাপত্তা-ঝুঁকির কারণে সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।
এদিকে রাফা অঞ্চলে সুড়ঙ্গে আটকা থাকা প্রায় ২০০ হামাস যোদ্ধার বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সুড়ঙ্গ থেকে বের হওয়ার পর বিমান হামলায় হামাসের পাঁচজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এর নাহাল ব্রিগেড। তাদের দাবি—যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে সেনাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, যা ছিল গুরুতর নিরাপত্তা-ঝুঁকি।
রাফার প্রায় পুরো অঞ্চল বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। যুদ্ধবিরতির পরও সেখানে হামাসের যোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ আলোচনা চালালেও তাতে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
গাজা এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে। যুদ্ধবিরতি শুধু কাগজে-কলমে, বাস্তবে চলছে রক্তপাত আর ধ্বংসের অবিরাম ধারাবাহিকতা।




