দেশে থাকলে হাত পাততে হতো: খোলামেলা স্বীকারোক্তি প্রবীণ অভিনেতা আহমেদ শরীফের
এফডিসিতে দোয়া মাহফিলে শিল্পীদের অনিশ্চিত জীবন ও স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি জানালেন ঢালিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা


এবিএনএ: বাংলা চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা আহমেদ শরীফ। অর্ধশতকেরও বেশি দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৮০০-র বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দেশের বাস্তবতা নিয়ে আক্ষেপ করে বললেন—বাংলাদেশে থাকলে তাকে ভিক্ষা করে বাঁচতে হতো।
সম্প্রতি প্রয়াত চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্মরণে রাজধানীর এফডিসিতে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দেন তিনি। সেখানেই শিল্পীদের অনিশ্চিত জীবনযাপন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আহমেদ শরীফ বলেন, “একজন মানুষের ন্যূনতম বাসস্থান, খাদ্য ও চলাফেরার নিশ্চয়তা থাকা দরকার। কিন্তু দেশে কতজন বলতে পারে, তার আগামী মাসের খাওয়ার নিশ্চয়তা আছে? খুব কম। শিল্পীরাও এ অনিশ্চয়তার বাইরে নয়। বিনোদনের এই অঙ্গনে নিরাপত্তা নেই। আমি যদি বাংলাদেশে থেকে যেতাম, তাহলে নিশ্চিতভাবে আমাকে হাত পেতে খেতে হতো।”
তিনি শিল্পীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার দাবি জানিয়ে বলেন, “শিল্পীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকা দরকার। যেন তাদের বেঁচে থাকার চিন্তা না করতে হয়। আমরা চাই শিল্পীরা কাজের জন্য বিদেশে না গিয়ে এখানেই সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারেন।”
প্রবীণ এই অভিনেতা বলেন, “আমার চোখের সামনে অনেক বড় ঘটনা ঘটেছে—সালমান শাহ’র মৃত্যু, শাবানার বিদেশে চলে যাওয়া, মান্নার অকাল প্রয়াণ। আমি সেসবের সাক্ষী। এত দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দর্শক আমাকে ভালোবেসেছেন। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে গালমন্দও শুনেছি, তবে সেটাই আমার সাফল্য।”
বাংলা চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিনের অবদান রেখেও প্রবীণ শিল্পীরা অবহেলিত—এমন বাস্তবতা আবারও উঠে এলো আহমেদ শরীফের কণ্ঠে।