বৃটিশ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন নাইজেল ফারাজে!

এবিএনএ : বৃটেন ও মার্কিন নতুন সম্পর্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়ে উঠেছেন বৃটেনের ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজে। তাকে এড়িয়ে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে অগ্রসর হোন এমনটা চাইছে না যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প টিম। তাই তাদের চাওয়া ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সাক্ষাতের আগে বৃটিশ সরকার যেন নাইজেল ফারাজের সঙ্গে কথা বলে। বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ও বৃটিশ সরকারের মধ্যকার সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে নিজে ভাল অবস্থানে আছেন বলে মনে করেন ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন বৃটেনের সঙ্গে ট্রাম্পের স¤পর্ক জোরালো করার জন্য তিনি ‘কনজার্ভেটিভ দলে আবার যোগও’ দিতে পারেন। বর্তমান সময়ে বৃটিশ রাজনীতিতে বেশ আলোচিত ইউকিপ দলের অন্তর্বর্তী এই নেতা। ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বৃটিশ রাজনীতিক হিসেবে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান নাইজেল ফারাজে। তা নিয়ে বৃটিশ রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সরকারের কোনো প্রতিনিধির আগে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করায় বিশ্ব মিডিয়াও খবরটি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে। ফারাজে ওই সাক্ষাতের পর অনেকবার বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে ব্যবহার করে তিনি বৃটিশ সরকারের সঙ্গে দু’দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু তেরেসা মে’র সরকার থেকে বলা হয়েছে, সরকারের কর্মকা-ে ভূমিকা রাখার মতো কেউ নন নাইজেল ফারাজে। কিন্তু এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে ‘কানেকশন’ তাকে ভাল একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। তাই তিনি সেই সম্পর্ককে ব্যবহার করে দু’দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান। উল্লেখ্য, এক সময় বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির রাজনীতি করতেন নাইজেল ফারাজে। ১৯৯২ সালে তিনি এ দল ছেড়ে যান। তিনি বলেছেন, আপনি কি কল্পনা করতে পারেন, যদি আমরা আমেরিকার বিষয়ে থাকতাম, আমেরিকায় ট্রাম্পের বিষয় দেখতাম, যেমন কেউ তার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, তাহলে আপনি কি করতেন? আপনি কি এমন কাউকে খুঁজে বের করতেন না, যার সঙ্গে ওই সম্পর্ক রয়েছে। এরই মধ্যে খবর রটেছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনার আগে কি আলোচনা হবে তা নিয়ে নাইজেল ফারাজের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ট্রাম্পের চিফ স্ট্রাটেজিস্ট স্টিভ বেনন। এর পরই নাইজেল ফারাজে ওই মন্তব্য করেছেন। তবে এমন খবরে তেমন আগ্রহ দেখান নি তিনি। ফারাজে বলেছেন, এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার সঙ্গে কোনো কথা বলবে না সরকার। তার সঙ্গে সরকারের এমন কথা বা আলোচনা হতে পারে যদি তিনি নতুন করে কনজার্ভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন। নাইজেল ফারাজে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে, তার চেয়ে তার টিমের সঙ্গে আমার কানেকশন আছে। অনেক বছর ধরে আমি তাদের চিনি। বৃটেনে ব্রেক্সিট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা নাইজেল ফারাজে। তার ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র বলেছেন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে নাইজেল ফারানের সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য করা হতে পারে খুব শিগগিরই। কারণ, ট্রাম্প টিম চাইবে না তাকে অবজ্ঞা করে অগ্রসর হোক তেরেসা মে সরকার।
Share this content: