এবিএনএ: আবারও কুমিল্লা নামে বিভাগের দাবি জানালেন সংসদ সদস্য আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ দাবি জানান সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য।
আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমাদের কুমিল্লার নামে বিভাগের নাম উত্থাপন করেছিলাম নেত্রীর কাছে। কুমিল্লার প্রবাসীরা বিভিন্ন অ্যাম্বাসির মাধ্যমে দরখাস্ত দিয়েছে কুমিল্লা নামে বিভাগের জন্য। জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা নেত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। আমাদের ১০ হাজার শিক্ষক কুমিল্লা নামে বিভাগ করতে আবেদন জানিয়েছেন। এই আবেদনগুলো যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হয়, সে বিষয়ে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এছাড়া কুমিল্লার টাউন হল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এমপি বাহার। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লাতে আমাদের শত বছর পুরোনো একটি টাউন হল আছে। এই টাউন হলে নগর মিলনায়তন পাঠাগার নির্মাণ করতে আমাদের দুইজন মন্ত্রী চেষ্টা করেও পারেনি। একটা ডিপিপি তৈরি করলাম কিন্তু কোথায় যেন জটিলভাবে আটকে যায়। এজন্য বলি আমরা যদি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন না করতে পারি, তাহলে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না।’
আ. ক. ম. বাহাউদ্দিন বাহার আরও বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কুমিল্লার টাউন হলের দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে। এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী এবং এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই টাউন হলের একটি ডিপিপি নিয়ে আমি ৭ বছর ধরে চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি কাজটা করতে পারিনি।’
এছাড়া গত পাঁচ বছর যাবত সকল সূচকে কুমিল্লা জেলা এক নম্বরে রয়েছে উল্লেখ করে এমপি বাহার আরও বলেন, ‘গত দশ বছর যাবত রেমিট্যান্সে আমরা কুমিল্লাবাসী এক নম্বরে। গত পাঁচবছর যাবত আমরা অনেক বেশি খাবার উৎপাদন করি। প্রত্যেক বছর আমাদের চাহিদা ১০ লক্ষ ৮১ হাজার মেট্রিক টন চাল কিন্তু আমরা ১৪ লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করেছি। আমরা কুমিল্লা থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের মাছ দরকার ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টন কিন্তু আমরা ৩ লক্ষ ১২ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করে জাতিকে উপহার দিয়েছি।’