এবিএনএ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজকের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই স্বাধীনতা কে দিল? শেখ হাসিনা। (নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে) এ জন্য অন্য কারও কৃতিত্ব ছিল না।’ আজ বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা সময় নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন। ২০০৯ সালের আগে এ দেশে নির্বাচন কমিশন ছিল নামকাওয়াস্তে। তখন কোনো নিয়মকানুন ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিয়োজিত করতেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারদের। শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে (এ ব্যবস্থার) পরিবর্তনের সূচনা করেন।’
তিনি বলেন, ‘এখন সংলাপ করার কথা বলেন। ২০১৮ সালে সংলাপের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। বহুদল গেলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়াকে সংলাপে আমন্ত্রণ করেছিলেন। আমাদের দোষ কোথায়, অপরাধ কোথায়?’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ দেশে গণতন্ত্রের নামে পদে পদে কলঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির অবরোধের তো আওয়ামী লীগ বাধা দেয়নি। বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের ডেকে এনে আগুন-সন্ত্রাস করে সরকার পতন করতে পারবে না। তারা সরকারের পতনের নামে আগুন-সন্ত্রাস করবে, ষড়যন্ত্র করবে। যখন শুনেছিলাম বিএনপি পুলিশকে হত্যা করেছে, বিচারপতি বাসায় হামলা করেছে, তখনই আমরা বুঝতে পেরেছি তাদের আন্দোলন বারটা বেজে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল- আওয়ামী লীগ অলিগলি খুঁজে পাবে না। কিন্তু ২৮ তারিখে দেখলাম বিএনপি অলিগলি দিয়ে পালিয়ে গেল। বিএনপির এখন আর নেতা নেই, আছে শুধু আবাসিক প্রতিনিধি। নেত্রীকে বলেছিলাম। তিনি বলেছেন- একজন বাইরে থাক, তাকে ধরার দরকার নেই। তাকে ধরার জন্য সরকার জোর কোনো চেষ্টা করেনি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিটিং। সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আ্যভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কার্যক্রম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আব্দুর রহমান; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ।