এবিএনএ: ৬ বছরের নিচের কোনো শিশু প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না। ২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এ বয়স নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
গত বৃহস্পতিবার সরকারি স্কুলে ভর্তির সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হবে ২৫ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে। চলবে ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এবারও স্কুল থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন শুধু অনলাইনে করা যাবে। সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। আর বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় আগামী ১৯ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মুঠোফোন থেকে এসএমএসের মাধ্যমে এই ফি দেওয়া যাবে। ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তিনটি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি স্কুল নির্বাচন করতে পারবে। এ ছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের স্কুল বা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিজ নিজ ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ নিজ ভর্তি কমিটির উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ছাড়া অন্য কোনও পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
এ ছাড়া সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তানসংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদনের প্রয়োজন নেই।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তির উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তির উপযুক্ত সন্তান বালক হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তান ভর্তির যে ২ শতাংশ কোটা নীতিমালায় সংরক্ষিত ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। এ ছাড়া আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।