বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির পর ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান। তিনি জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ভেতরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবাইকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মূল বেদীতে প্রবেশ করতে হবে। এ ছাড়া ম্যানুয়ালি ও হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। সিসিটিভিগুলো কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। কোথাও সমস্যা মনে হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনারের পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। শহীদ মিনারের চারপাশে ডিএমপির ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত গাড়ি প্রবেশ বন্ধ থাকবে। মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাদাপোশাকে ডিবি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসাররা মোতায়েন থাকবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক পুলিশের পর্যাপ্ত মোবাইল ও প্যাট্রোল টিম থাকবে। জনসাধারণ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে শহীদ মিনারে প্রবেশ ও বের হতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।

তিনি বলেন, পলাশী মোড় হয়ে শহীদ মিনারে আসতে হবে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রমনা চত্বর ও দোয়েল চত্বর দিয়ে বের হয়ে যেতে হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে উল্টো দিক থেকে না আসতে সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপনে কোনো হুমকি আছে কিনা- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনকে ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ, ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সোয়াট টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। ব্যারিকেডের ভেতরের প্রতিটি ইঞ্চি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে ডিএমপির নির্দেশিত ম্যাপ অনুসরণ করতে সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।