
এবিএনএ: যুবলীগ নেতা শামীম ও তার দেহরক্ষীদের কাছ থেকে যেসব অস্ত্র পাওয়া গেছে সেগুলো চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির কাজে ব্যবহৃত হতো বলে জানিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেছেন, ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে অবৈধ উপায়ে আয় করতেন শামীম। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার শামীমকে গুলশানের নিকেতন থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করার পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে, তার (শামীম) কাছে অবৈধ অর্থ ও অস্ত্র রয়েছে। এ ছাড়া তিনি চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে জড়িত ছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তার বাসা ঘেরাও করি। এ সময় তার সাত বডিগার্ডসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বডিগার্ডদের সাতটি শটগান ও বিপুল পরিমাণে গুলি জব্দ করা হয়।’ পরে শামীমকে নিয়ে তার অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শামীমের অফিস থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার করা হয় জানিয়ে র্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘এর পরিমাণ এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো। এ ছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর তার মায়ের নামে, আর বাকিগুলো তার নামে। কিছু মাদক পেয়েছি এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। শামীমসহ আটজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’ শামীম ঠিকাদারি ব্যবসা করলেও তার নামে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান সারওয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, ‘এই বিপুল পরিমাণে অর্থ আমরা মানিলন্ডারিং আইনে ফেলব। তদন্ত করে দেখব তার কাছে এত টাকা কীভাবে এল।’
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, শামীমের মায়ের কোনো ব্যবসা নেই। কিন্তু তার নামে ১৪০ কোটি টাকার এফডিআর করা। যে সাতটি অস্ত্র পাওয়া গেছে এগুলো চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির কাজে ব্যবহার করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া জব্দকৃত টাকা ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে অবৈধ উপায়ে আয় করেছেন বলেও তথ্য রয়েছে। এসব অভিযোগ আদালতে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে শামীম ছাড়া পাবেন উল্লেখ করে সারওয়ার আলম বলেন, ‘আর যদি অভিযোগগুলো সত্য হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘উনি কোনো দলের সদস্য কি না তা আমরা জানি না। এটা দলীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা তাকে দোষী পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
Share this content: