জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ৭ জন নিহত

এবিএনএ: নুরুল আলম,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:: খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভর বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিপির সভাপতিসহ চাকরীজীবি,পথচারীসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। এতে সংয়ক্রিয় এসএমজির প্রায় ৫০/৭০ রাউন্ড বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রশাসন নিশ্চিত করেছে। আতঙ্ক ও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জানা গেছে, গ্রামবাসীদের নিয়ে ইউপিডিএফ আজ সকালে একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ করার কথা ছিল। এ ঘটনার সূত্র ধরে হত্যাকন্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালসহ তাদেও নিজ এলাকা।

এ ঘটনা নিহতরা হচ্ছে, ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা (২৩),সহ-সাধারণ সম্পাদক এলটন চাকমা (২৮), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি সহ-সভাপতি পলাশ চাকমা (৪২),রুপক চাকমা (২৫)বরুণ চাকমা (২৭) ও মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী জীতায়ন চাকমা। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে, পিসিপির নেতা-সোহেল চাকমা (২২) সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সখীধন চাকমা। পরে মিছিলে পরে গিয়ে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত (আহত) ছন কুমার চাকমা (৭০) খাগড়াছড়ি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে বলে জানা যায়।

নিহত ও গুলিবিদ্ধদের পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর গুলিবিদ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে কত্যর্বরত চিকিৎসক। এ ঘটনার প্রতিবাদে শবি মন্দির এলাকা থেকে পূনরায় মিঠিল নিয়ে খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরের দিতে আসতে চাইলে আবারো মিছিলে গুলি চালায় অস্ত্রধারীরা। হামলার সময় স্বনির্ভর বাজারে অবস্থিত পুলিশ বক্সেও গুলি চালানো হয় বলে জানান খাগড়াছড়ি থানার ওসি শাহাদাত হোসেন টিটো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীব মন্দির এলাকাবাসীসহ ইউপিডিএফ সমর্থিতদের সমর্থনে স্থানীয়দের সমন্বয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সে সমাবেশে গণ জমায়েত করতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল পিসিপির নেতাকর্মীরা। এ সময় সকাল শনিবার সাড়ে ৮টার দিকে টমটমে করে পিসিপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে উদ্দ্যেশে বাজারে আসলে অস্ত্রধারীরা বাজার ও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করে তাদের হত্যা করে। এ সময় একজন স্বাস্থ্য সহকারীসহ মোট ৭ জন নিহত হয়।

ইউপিডিএফ এর জেলা সমন্বয়কারি মাইকেল চাকমা ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। অবশ্য জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ জানায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যা কান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারনা করছে। এদিকে হত্যাকান্ডের পর দুপুর ১২টার দিকে ইউপিডিএফ এর সমর্থক রা জেলা সদরের ধর্মপুর এলাকায় একটি মিছিল বের করতে চাইলে প্রতিপÿ ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রিক)এর অস্ত্রধারীরা মিছিলের উপ গুলিবর্ষন করলে আরো ২ জন গুলিবিদ্ধ হয় ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button