এ বি এন এ : প্যারিস থেকে কায়রোগামী ইজিপ্টএয়ারের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে এর ৬৬ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিসরের সামরিক বাহিনী।
মিসরের নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ভেসে থাকা বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও যাত্রীদের মালামাল খুঁজে পেয়েছে। আলেক্সান্দ্রিয়া উপকূল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার উত্তরে সমুদ্রে ধ্বংসাবশেষগুলো খুঁজে পাওয়া গেছে। বিমানের ব্ল্যাক বক্সের খোঁজে ওই এলাকায় এখনো তল্লাশি অভিযান চলছে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থার এয়ারবাস এ৩২০ বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৯ মিনিটে ফ্রান্সের শার্ল দা গল বিমানবন্দর ছাড়ে। মিসরের স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সেটির কায়রো বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু গ্রিক আকাশসীমা পেরোনোর পরপরই কায়রোর স্থানীয় সময় বুধবার রাত ২টা ৪৫ মিনিটে (বাংলেদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫) বিমানটি রেডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পানোস কাম্মেনোস এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, বিমানটি সাগরে পড়ার আগে আকাশে দুইবার চক্কর খেয়েছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, “ফ্লাইট এমএস৮০৪ মিসরের আকাশসীমায় প্রবেশ পরপরই ৯০ ডিগ্রি বামে এবং ৩৬০ ডিগ্রি ডানে চক্কর খায়। এরপর বিমানটি ৩৭ হাজার ফুট থেকে একেবারে ১৫ হাজার ফুট নিচে নেমে এসে রেডার থেকে হারিয়ে যায়।” সর্বপ্রথম ফ্রান্স ভূমধ্যসাগরে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে। কায়রোর কর্মকর্তারা বিমানটির আরোহীদের মৃত্যুর খবর জানানোর পর মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে সন্ত্রাসীদের হাত থাকতে পারে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার মিসরের প্রধানমন্ত্রী শেরিফ ইসমাইল বলেন, “এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলার সময় আসেনি। তবে কোনো আশঙ্কাকেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।” যদিও এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। মিসরের বিমান পরিবহনমন্ত্রী বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির তুলনায় সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনা অনেক বেশি।