এবিএনএ : শনিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে মেরাজ। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে শনিবারের রাত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তারা বিশ্বাস করেন, এ রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উর্দ্ধাকাশে গমন করেন। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজের বিধান হয় শবে মেরাজের রাতে।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, ১৪০০ বছর আগে ২৬ রজব দিবাগত রাতে আরশে আজীমে আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসেন মহানবী (সা.)। এ ঘটনা নবী করিম (সা.) এর মোজেজা হিসেবে প্রকাশ পেয়েছিল। জিকির-আসকার, নফল নামাজ, দোয়ার মধ্য দিয়ে শবে মেরাজের রাত অতিবাহিত করেন মুসলমানরা।
হাদীস ও সাহাবীদের বর্ণনানুযায়ী, মেরাজের রাতে ফেরশতা জিব্রাইল (আঃ) রাসূল (সা.) নিয়ে কাবা শরীফের হাতিমে যান। জমজমের পানিতে অজুর পর বোরাক নামক বাহনে জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাসে গিয়ে নামাজ আদায় করেন।
নামায শেষে নবীজী জিব্রাঈল (আঃ) এর সঙ্গে প্রথম আকাশে পৌঁছান। সেখানে হযরত আদম (আঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত ও কুশল বিনিময় করেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। এভাবে সাত আকাশ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সাক্ষাত করেন হযরত ঈসা (আঃ), হযরত ইয়াহইয়া (আঃ), হযরত ইদ্রিস (আ.), হযরত হারুন (আ. ), হযরত মুসা (আ.) এবং হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর সঙ্গে।
সপ্তম আকাশ থেকে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন মহানবী (সা.)। সেখান থেকে রফরফ নামক যানে চড়ে আরশে আজিম যান। সেখানে এক ধনূক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয় মহানবী (সা.) এর উম্মতদের জন্য। মেরাজ শেষে রাসূল (সা.) পুরো ঘটনা হযরত আবু বকর (রা.) এর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি নিঃসংশয়ে তা বিশ্বাস করেন। রাসূল (সা.) তাকে সিদ্দিকী বা বিশ্বাসী খেতাব দেন। মক্কার কাফেররা রাসূলের মেরাজের ঘটনাকে অবিশ্বাস করে। শবে মেরাজ উপলক্ষে শনিবার মাগরিবের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও দোয়ার আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। দেশের প্রতিটি মসজিদে বাদ মাগরিব দোয়া ও বিশেষ বয়ান করা করা হবে।