এবিএনএ : প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই নারী ও পুরুষ একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে থাকে। কিন্তু এমন কিছু গুণাবলী রয়েছে যেগুলো পুরুষদেরকে নারীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলে। পুরুষের প্রতিও নারীদের চরম দুর্বলতা কাজ করে। তাহলে জেনে নিন সেই গুণের কথা-
মনমরা নয়, মুখে হাসি ফোটান:
রসবোধ থাকাটা যে কারও জন্যই উঁচুমানের গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কাঙ্ক্ষিত পুরুষের চরিত্রে নারীরা এটা খোঁজেন। প্রাত্যহিক জীবনে এমনিতেই বহু ঝুট-ঝামেলা নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে থাকার মতো যথেষ্টই কারণ থাকে নারীদের। তাই একজন মনমরা টাইপ সঙ্গী তাঁদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তাই নিজে হাসুন, তার মুখেও হাসি ফোটান, তবে খেয়াল রাখতে হবে ঠাট্টা-তামাশা করতে গিয়ে সব সময়ই অন্য কাউকে খাটো করা, আঘাত করা মোটেই কাজের কথা না।
নিজের রুচি প্রকাশ করুন:
দামি ব্র্যান্ডের জামা-জুতা হতে হবে বিষয়টা মোটেও এমন নয়। তবে বেমানান কিছু পড়বেন না। সাধারণ দোকান থেকে কেনা হলেও পোশাকে-আশাকে নিজের রুচিটা তুলে ধরুন। আর খেয়াল রাখুন তা যেন আপনার শারীরিক গড়ন আর গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই হয়। নিজের একটা স্টাইল গড়ে তুলুন। আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি যেমন নারীদের ‘সন্ন্যাসিনী’ সেজে থাকা পছন্দ করেন না, ঠিক তেমনি আধুনিক নারীরাও ‘অফিস টাইপ’ পোশাকের পুরুষদের পছন্দ করেন না।
ফিটফাট থাকুন:
নারীরা দীর্ঘদেহী পুরুষ পছন্দ করেন বটে, তবে উচ্চতাই শেষ কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। আসল বিষয় হলো নারী বুঝতে চায় আপনি নিজের যত্ন নিতে, ফিটফাট থাকতে পারছেন কি না। তারা ভাবেন, যে পুরুষ নিজের দেখভাল করতে পারেন না, তিনি আমার দেখভাল করবেন কী করে? সুতরাং, আলুথালু পোশাক, এলোমেলো চুল, নখ না কাটা বা ময়লা থাকা, মোজায় গন্ধ, ময়লা শার্ট বা জিনসের উদাসীনতার দিন শেষ। হালের নারীরা এসব একেবারেই পছন্দ করেন না। নারীর মন পেতে হলে এসব খামখেয়ালিপনা আজই ছাড়ুন।
চোখে ভাষায় কথা বলুন:
যখনই তার চোখে চোখ রেখে তাকাবেন। মিষ্টি করে একবার হাসুন। ভালোবাসার চোখে সরাসরি তার চোখে তাকালে একজন নারী যে অনুভূতি পান তার তুলনা করা দুষ্কর। আপনার ওই চাহনিতে নিজেকে লাখে একজন মনে হতে পারে তার।
নিজেকে যত্নবান বোঝান:
নারীরা বারবারই এটা নিশ্চিত হতে চান যে তাকে যিনি ভালোবাসছেন, তিনি তার খেয়াল রাখছেন কিনা। তার হাত ধরে হাঁটা, সুযোগ পেলে একসঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা—হোক তা বারান্দায় দুই মিনিটের জন্য, মাঝেমধ্যেই জড়িয়ে ধরা, রাস্তা পেরোনোর সময় তার খেয়াল রাখার মতো কাজগুলোকে মোটেই অবহেলা করবেন না।