এবিএনএ : মোটা হয়ে যাচ্ছেন! ওজন বাড়ছে দিন দিন! পছন্দের খাবার বাদ দিয়ে দিচ্ছেন? তবে জেনে নিন নতুন গবেষণা কী বলছে। বলছে, ‘বেশি খেলে বাড়ে মেদ’ এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। বেশি খাবার পদ্ধতি মেনে খেলেও মোটা হওয়া আটকানো যায়।গবেষণা বলছে, ধীরে ধীরে খেলে শুধু মোটা হওয়াই নয়, আটকানো যায় হৃদরোগ। ডায়াবেটিস কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়। মানুষের অকালবার্ধক্যের পিছনেও তিনটি কারণ কাজ করে— ভুঁড়ি, হাই ব্লাড সুগার, হাই ব্লাড প্রেশার। ট্রাইগ্লিসারাইডস বা কোলস্টেরল বেশি থাকাও একটা বড় সমস্যা। আর এই সব থেকেই নাকি মুক্তি পাওয়া সম্ভব খাওয়ার পদ্ধতি বদলালে। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খেলেই নাকি অনেক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় বলে নতুন গবেষণা জানাচ্ছে।
জাপানের হিরোসিমা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি ৬৪২ জন পুরুষ ও ৪৪১ জন মহিলার উপরে গবেষণা চালান। যাদের গড় বয়স ছিল ৫১.২ বছর। তাদের কারও ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভুঁড়ি ছিল না।পাঁচ বছর পরে গবেষকরা দেখেন এদের মধ্যে ১১.৬ শতাংশ দ্রুত খাবার খান, ৬.৫ শতাংশ সাধারণ ভাবে খাবার খান এবং ২.৩ শতাংশ ধীরে খাবার খান। দেখা গিয়েছে, যারা দ্রুত খাবার খেয়েছেন তাদের অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি হয়েছে, ভুঁড়ি হয়েছে এবং ব্লাড সুগারও বেড়েছে।হিরোসিমা ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট তাকাউকি ইয়ামাজি জানিয়েছেন, ‘‘মেটাবোলিক সিনড্রোম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ধীরে খাবার খাওয়া অত্যন্ত কার্যকরী।’’গবেষকদের বক্তব্য, দ্রুত খাবার খেলে মনে হয় পর্যাপ্ত খাওয়া হল না এবং তার ফলে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায়। দ্রুত খেলে গ্লুকোজ ফাংশানেও সমস্যা তৈরি হয় যা ব্লাড সুগার বাড়ায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সায়েন্টিফিক সেশনস ২০১৭-তে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।