এবিএনএ : সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনার। ছোট ছোট ভুলে বাধা-নিষেধ বা গালি-গালাজ নয়, বরং শুধরে দিয়ে তাকে শিখিয়ে দিন। সন্তানকে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করুন। এভাবে সে সঠিক শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে, তার জীবনেও সফলতা আসবেই। তাইতো জীবনে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে আপনাকেই। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাখাওয়াত আলম।
* সুস্থ দেহ ও হাসিখুশে মন রাখতে শিশুর শারীরিক অনুশীলনের মনোযোগ বাড়ান। প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট দৌড়াদৌড়ি বা খেলাধুলা করতে দিন।
* টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুরা প্রচুর সময় ব্যয় করে। শিশুরা যেন ভিডিও গেমস ও মোবাইল ফোনেও দিনে এক ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় না করে সেদিকে নজর দিতে হবে।
* শিশুকে বই পড়তে উৎসাহিত করুন। সপ্তাহে অন্তত একটি করে বই পড়তে দিন। এছাড়া তাকে সারাংশ লেখা অভ্যাস করান।
* শিশুকে প্রতি সপ্তাহের, মাসের, বাৎসরিক ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে শেখান। এটা তাকে নিজের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে শেখাবে।
* শিশুকে দয়ালু ও জনহিতকর কাজ করতে উৎসাহিত করুন। তাকে সবার সঙ্গে মিশতে শেখান। অন্য কারো বিপদে যেন সে পাশে দাঁড়ায় তাও শেখাতে হবে।
* শিশুকে সঞ্চয় করতে শেখান।
* যে কোনো দরকারে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার বিষয়টি শিশুকে শেখানো খুবই প্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতে সে যেন কোনো বিপদে পড়লে তাদের সহায়তা নেয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
* শিশুকে ভদ্রতা শেখাতে হবে। যেমন- যে কোনো বিষয়ে কারো কাছে উপকৃত হলে ধন্যবাদ দিতে বলুন বা কারো সঙ্গে দেখা হলে সালাম/আদাব দিতে শেখান।
* সন্তানের ভুল হতেই পারে। আর সে ভুলগুলোতে সে যেন হতাশ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ভুল মেনে নেয়ার পাশাপাশি এক ভুল যেন বারবার না হয় সেজন্যও তাকে সতর্ক করতে হবে।
* শিশুকে সময়ের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান দিন। দৈনিক কাজের তালিকা, পড়ার রুটিন তৈরি করতে দিন এবং তাকে সেটা মেনে চলতে বলুন।
* শিশুকে আর্থিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই জ্ঞান দিন। কখনো অর্থ সংকট থাকলে তাকে ম্যানেজ করতে শেখান। তবে ম্যানেজ মানে কিন্তু ধার-কর্য নয়, তাকে অল্প টাকায় চলতে শেখান। আর্থিকভাবে সফল হওয়ার ছোট ছোট উপায়গুলো তাকে শিখিয়ে দিন।