
এবিএনএ : রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাতে মিয়ানমারের বিজিপির নির্বিচারের গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে মহিলাসহ আরো ৪ জন। বুধবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে নাফ নদের মিয়ানমারের সীমান্তে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহত রোহিঙ্গাদের বিজিবি উদ্ধার করে বৃহষ্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
নিহত নারী হচ্ছেন মিয়ানমারের মংডুর কালু মিয়ার স্ত্রী জাহেদা (৫০)। আহতরা হচ্ছে শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রি পাড়ার ও নৌকার মাঝি আবদুল গফুরের পুত্র মোঃ শফিক (২৫), মিয়ানমারের মংডুর মেরুল্লার মৃত মকবুল আহমদের পুত্র মোঃ কাশেম (৮০), মংডুর নলবইন্যার আলী জোহারের স্ত্রী মজুমা প্রকাশ মুজালাফা (৫০) ও একই এলাকার মোঃ তৈয়ুবের রশিদা (২৫)।
জানা যায়, শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিন পাড়ার অবৈধ রোহিঙ্গা পারাপারের ঘাট হতে ১৩-১৫ জন নারী পুরুষের রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা নাফ নদ পেরিয়ে মিয়ানমারের যাচ্ছিল। নৌকাটি মিয়ানমারের সীমান্তে নাফনদের নাইক্ষ্যংদিয়া বরাবর পৌঁছলে হঠাৎ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ধাওয়া করে। তখন প্রাণ বাঁচাবার উদ্দেশ্যে ফের বাংলাদেশের দিকে চলে আসে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি। গুলির শব্দ শুনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে মিয়ানমারের বিজিপি পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি জওয়ানরা রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি দেখে উদ্ধার করে এবং গুলিবিদ্ধ আহতদের টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ জানান, বিজিবি ১৭ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।
Share this content: