বাণিজ্যমেলায় অংশ নিচ্ছে ১০ দেশের ১৭ প্রতিষ্ঠান: টিপু মুনশি


এবিএনএ: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ১০ দেশের ১৭ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ‘২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিইটিএফ)’ রোববার (১ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে। এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। টিপু মুনশি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। লাভের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয় না। গতবছরও এ মেলায় দুইশো কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রপ্তানির স্পট আদেশ পাওয়া গেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে একটু দূরে হলেও মেলায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাই। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান। এতে পণ্যের মানও উন্নত হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য। আমাদের পণ্যের মান উন্নত ও মূল্য কম হওয়ার কারণে প্রতি বছর রপ্তানি বাড়ছে। গত বছরও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য। অল্পদিনের মধ্যে এ খাতের রপ্তানি ৪-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আশা করছি। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বিশ্ববাজারে। সবমিলিয়ে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট থাকবে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো সার্টেল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড হতে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজারটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিমসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Share this:
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on Reddit (Opens in new window) Reddit
- Click to share on WhatsApp (Opens in new window) WhatsApp