আমেরিকা

শুল্কযুদ্ধের ধাক্কা: আমেরিকার ইতিহাসে রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি মার্চ মাসে

ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাবে আগেভাগে আমদানি বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ঘাটতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১৪০ বিলিয়ন ডলার

এবিএনএ:  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন শুল্কযুদ্ধের সরাসরি প্রভাবে মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির বাণিজ্য দপ্তর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চে আমেরিকার মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ দশমিক বিলিয়ন ডলার। এই অঙ্ক ১৯৯২ সালের পর থেকে একক মাসে সর্বোচ্চ ঘাটতির রেকর্ড। ফেব্রুয়ারিতে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১২৩.২ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ মাত্র এক মাসেই বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৭.৩ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণায় মার্কিন আমদানিকারকেরা আগেভাগেই পণ্যের জোগান বাড়িয়েছেন। যদিও হোয়াইট হাউস জুলাই পর্যন্ত নতুন শুল্ক কার্যকর স্থগিত রেখেছে, তবু বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠার তাগিদে ব্যবসায়ীরা আগেই পণ্য আমদানি করে ফেলেছেন।

মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ৪১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যেখানে রপ্তানি হয়েছে ২৭৮ দশমিক বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ফলে বাণিজ্য ঘাটতির ব্যবধান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

বিশেষ করে ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে তীব্র উল্লম্ফন দেখা গেছে। মার্চ মাসে এই খাতে আমদানি বেড়েছে ২২ দশমিক বিলিয়ন ডলার, যা সামগ্রিক ঘাটতি বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল মার্চ মাসে ঘাটতি দাঁড়াবে আনুমানিক ১৩৭.৬ বিলিয়ন ডলার। বাস্তবে তার চেয়েও অনেক বেশি হয়েছে, যা মার্কিন অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই নতুন পরিসংখ্যান মার্কিন শুল্ক নীতির ফলাফল বিশ্ববাজারে আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Share this content:

Back to top button