
এবিএনএ: কোরীয় যুদ্ধে নিহত ৫৫ মার্কিন সেনার দেহাবশেষ বাক্সে করে ফেরত পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বাক্সগুলোতে মাত্র একটি সামরিক শনাক্তকরণ চিহ্ন সম্বলিত ট্যাগ রয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি। কোরীয় যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৬৫তম বার্ষিকীতে অবশেষে মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ দেশে ফেরত আসছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ধারণা করা হচ্ছে দেহাবশেষগুলো মার্কিন সেনাদের। আরো ব্যাপক পরীক্ষার জন্য বাক্সগুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে আনা হচ্ছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছিল, উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি পর্যন্ত একটি উড়োজাহাজে করে এই দেহাবশেষ পাঠানো হবে। ১ আগস্ট নিহত সেনাদের স্বজনেরা দেহাবশেষ গ্রহণ করবেন। প্রিয়জনদের দেহাবশেষ ফেরত পেতে বহু বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন তারা। এর আগে ভুল শনাক্ত করা বিদেশি সেনাদের লাশ ফেরত পাঠিয়েছিল। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার ওসান বিমানঘাঁটিতে একটি প্রত্যাবর্তান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাক্সগুলো গত সপ্তাহে এসেছিল। দেহাবশেষ শনাক্তকরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাওয়াই সংস্থার ফরেনসিক নৃতত্ত্ববিদ জন বাইড বলেন, ‘কোরীয় যুদ্ধে নিহতদের সঙ্গে এদের যোগসূত্র রয়েছে এই মুহূর্তে এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, কোরীয় যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন কিম। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্কিন সরকার ‘উত্তর কোরিয়ার ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও পরিবর্তন দেখে উৎসাহিত হচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তথ্যানুযায়ী, ১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫ হাজার ৩০০ সেনা নিখোঁজ হয়েছিলেন। এর আগে গত ২১ জুন নিখোঁজ ২০০ মার্কিন সেনার দেহাবশেষ উত্তর কোরিয়া ফেরত দিয়েছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Share this content: