জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনকারীরা

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনকারীদের এই অবরোধে কারণে শাহবাগ এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার গাড়িগুলোকে ছেড়ে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আমরা আন্দোলন করতে চাই না, ‘আমরা প্রজ্ঞাপন চাই। আমরা বারবার আলটিমেটাম দিয়েছি, কিন্তু এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলন করছি।’ তিনি বলেন, ‘অতিসত্ত্বর কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনের ঘোষণা দেন। আপনারা প্রজ্ঞাপন জারির সুনির্দিষ্ট দিন তারিখ ঘোষণা করুন, তাহলে আমরা বিবেচনা। প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ এর আগে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে জড়ো হন। পরে তাদের একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন। সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হাজারো শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের উঠিয়ে দিলে রাতভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। পক্ষে-বিপক্ষে সংসদ ও দেশব্যাপী তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা দেন, চাকরিতে আর কোটাই থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করে। এরপর থেকে তারা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছে। গত ৯ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন থেকে ১০ মের মধ্যে প্রজ্ঞাপনের দাবি জানান। অন্যথায় ১৩ মে রোববার থেকে তারা ফের আন্দোলনের নামার ঘোষণা দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোটা সংস্কারে কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠনের এ উদ্যোগকে আন্দোলন ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনকারীরা।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button