এবিএনএ : টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং দৃঢ়তায় গলে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ থেকে ১৮২ রানে পিছিয়ে থাকতেই সবগুলো উইকেট হারায় তারা। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আম্পায়ারদ্বয়। আগামি কাল চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নামেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের শুরুতে সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছিল তার সাবলীল ব্যাটিং। দ্বিতীয় দিনে শেষে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকা সৌম্য আজ ১৩৭ বলে ৮ চার এবং ১ ছক্কায় ৭১ রান করে লাকমলের শিকার হন। লাকমলের শর্ট বলটি বিভ্রান্ত করে সৌম্যকে। একটু মনযোগ হারিয়ে ফেলেন তিনি। বলটি ছেড়ে দিতে গিয়েও কী মনে করে আবার পুল করে বসেন। দিলরুয়ান পেরেরা ক্যাচটি তালুবন্দী করতে ভুল করেননি।
সৌম্যর পর স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে বাজে বলে উইকেট বিলিয়ে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি ১৯ বলে ২৩ রান করে আউট হন। সান্দাকানের বলটি ফাইন লেগ দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে তা চলে যায় কিপার ডিকাভিলার হাতে।
সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাটে রানখরা যেন কাটছেই না। দলীয় ১৮৪ রানে লাহিরু কুমাররা দারুণ এক ইয়র্কারের সরাসরি বোল্ড হয়ে যান ২৬ বলে ৮ রান করা রিয়াদ। মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের প্রথম শিকারে পরিণত হন অনেকদিন পর দলে সুযোগ পাওয়া উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। হেরাথের বলে গুনারত্নের হাতে ক্যাচ দেন ১৩ বলে ৫ রান করা লিটন।
লিটন আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম সেশনের ধাক্কা সামাল দিয়ে মুশফিক-মিরাজ জুটি ১০৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিতে মিরাজের অবদান ৪১ রান। এরপরই আসে পেরেরা জোর আঘাত। এলবি ডব্লিউ হয়ে ফিরে যান মিরাজ ও তাসকিন।
একপ্রান্তে বোলার শুভাসিষকে নিয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক হেরাতের শিকার হন মুশফিক। বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ৮ চার ও ১ ছয়ে ৮৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন। শেষ উইকেট হিসেবে মুস্তাফিজকে আউট করে হেরাথ বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে):
শ্রীলংকা প্রথম ইনিংস : ৪৯৪/১০, ১২৯.১ ওভার (মেন্ডিস ১৯৪, গুনারত্নে ৮৫, ডিকবেলা ৭৫, মিরাজ ৪/১১৩)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৩১২/১০, ৯৭.২ ওভার (মুশফিকুর ৮৫, সৌম্য ৭১, তামিম ৫৭, পেরেরা ৩/৫৩)।