আন্তর্জাতিক

২৫ কেজি স্বর্ণ ফিরিয়ে দুবাইয়ে প্রশংসিত বাংলাদেশি লিটন

এ বি এন এ : ৩.৫ মিলিয়ন দিনার অর্থমূল্যের ২৫ কেজি স্বর্ণ ফিরিয়ে দিয়ে দুবাইয়ের গণমাধ্যমগুলোর আলোচনায় ওঠে এসেছেন বাংলাদেশি নাগরিক লিটন চন্দ্র পাল নেপাল। রাতে দুবাই বিমানবন্দর থেকে দেইরার মুরাক্কাবাতে চার যাত্রী পরিবহণের সময় ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীদের রাত ২.৪৫ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে দেন লিটন। লাগেজগুলো নামিয়ে দিতে চাইলেও যাত্রীরা তার সাহায্য নিতে অস্বীকৃতি জানান। তার ট্যাক্সিতে যে, ২৫ কেজি স্বর্ণ আছে তা বুঝতে পারেন তার ৪০ মিনিট পর।

লিটন বলেন, তখনকার মতো আমার ডিউটি প্রায় শেষ। ওই সময় আরটিএর কাস্টমার সাপোর্ট থেকে ফোন পাই। আমার ট্যাক্সিতে কোনো যাত্রীর ব্যাগ আছে কী না জানতে চায় দুবাই পুলিশ। বললাম, চেক করে দেখছি। পরে একটি ধূসর রঙের ল্যাপটপের ব্যাগ দেখতে পাই যার ভেতরে স্বর্ণের বারগুলো রাখা ছিল। তখনই কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই। পরে আরটিএর কাছে ব্যাগটি হস্তান্তর করি।

লিটন আরো বলেন, ব্যাগের মধ্যে আটটি স্বর্ণের বার থেকে আমি অাশ্চর্য হয়ে যাই। কর্তৃপক্ষ মাপ দেয়ার পর দেখেন তাতে ২৫ কেজি স্বর্ণ আছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ আমরা স্বর্ণগুলো ফিরিয়ে দিই। স্বর্ণের মালিক শ্বেতাঙ্গ সেই লোকটি লিবিয়ার নাগরিক।

তিনি কী স্বর্ণ পাওয়ার পর আপনাকে পুরস্কৃত করেছেন? লিটন বলেন, তিনি আমাকে বলেছেন, ‘থ্যাংক ইউ’।

২০১০ সাল থেকেই দুবাইয়ের সড়ক ও পরিবর্হন কর্তৃপক্ষের (আরটিএ) অধীনে দুবাই ট্যাক্সি কর্পোরেশনের (ডিটিসি) সাথে যুক্ত লিটন। স্বর্ণের মালিক কিছু না দিলেও লিটন চন্দ্র পাল নেপালের এ সততা ও উদারতার স্বীকৃতি দিয়েছে দুবাইয়ের সড়ক ও পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (আরটিএ)। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান নির্বাহী ডা. ইউসুফ আল আরি আমাদে নগদ ১০০০ দিনার দিয়েছেন এবং এক বছরের জন্য আবাসন সুবিধা ফ্রি করে দিয়েছেন। আমাদের রেল যোগাযোগের প্রধান নির্বাহী আবুল মসহিন ইব্রাহিম ইউনুস আমাকে ৫০০০ দিনার নগদ দিয়েছেন। আমাকে প্রশংসাপত্রও দেয়া হয়েছে।

এখনো বিয়ে করেননি ওই বাংলাদেশী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মা আমাকে দোয়া করেছেন। বলেছেন, আমি তাকে গর্বিত করেছি। আমার তিন বোনও এতে ভীষণ খুশি হয়েছে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button