খেলাধুলা

১৬ বছর ক্রিকেট শিখিয়ে কী পেলাম—যুবরাজকে প্রশ্ন তাঁর বাবার

এবিএনএ : এক ধরনের অভিমান থেকেই কথাগুলো বলেছেন যোগরাজ সিং—ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বাবা। ছেলের জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেননি আশির দশকের শুরুতে ভারতের হয়ে একটি টেস্ট ও ছয়টি ওয়ানডে খেলা যোগরাজ। কী এমন ক্ষোভ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, যার কারণে নিজের ছেলের বিয়ে থেকে দূরে থাকলেন!

কারণটা তিনি বলেছেন হিন্দুস্তান টাইমসকে। দুঃখ করে বলেছেন, ‘যুবরাজকে আমি ১৬ বছর ক্রিকেট শিখিয়েছি, সে আমাকে কোনো দিন একটা কুর্তা (জামা) উপহার দেয়নি। কিন্তু সে ডেরা বা গুরুদুয়ারায় গাড়ি উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে!’

যোগরাজের ক্ষোভটা ওই ডেরার ওপরই, ‘আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, কিন্তু কোনো গুরুতে বিশ্বাস করি না। আমি যুবরাজের বিয়ের আগে ওর মাকে বলেছিলাম, বিয়েটা কোনো গুরুদুয়ারায় ধর্মগুরুর অধীনে হলে আমি তাতে অংশ নেব না। আমার ভাগ্য খারাপ। আমি আমার ছেলের বিয়েতে অংশ নিতে পারিনি।’
ডেরার ব্যাপারে এক ধরনের স্পর্শকাতরতা আছে যোগরাজের, ‘আমি খুব অবাক হই যখন দেখি শিক্ষিত লোকজন এসব ধর্মগুরুর পেছনে ছোটে। তবে অন্যদের সম্পর্কে কী বলব, আমার নিজের পরিবারই তো এমনই করল।’
ছেলের গুরুপ্রীতির ব্যাপারে যোগরাজ যে কতটা অভিমানী সেটি ফুটে উঠেছে তাঁর একটি মন্তব্যেই, ‘আমি আমার ছেলেকে জিজ্ঞেস করতে চাই, ওকে ক্রিকেট খেলাটা কে শিখিয়েছে, তাঁর বাবা না ওই গুরুরা? গুরু কি তাঁকে ক্যানসার থেকে সুস্থ করে তুলেছে? অথচ যুবরাজ বলেছে, তাঁর গুরুই নাকি ক্যানসারের হাত থেকে তাঁকে বাঁচিয়েছে।’
যোগরাজের কথা শুনে মনে হচ্ছে, ছেলে আর ছেলের মা কোনো একটা গুরুদুয়ারায় অঢেল টাকা দান করেছেন মনের বিশ্বাস থেকে, যা যুবরাজের বাবার পছন্দ নয়। তবে বাবাকে কিছু না দিয়ে গুরুদের পেছনে সত্যিই যদি এভাবে অঢেল টাকা কিংবা গাড়ি দান করে থাকেন যুবরাজ, এ–ও তো অন্যায়।
ভারতীয় অলরাউন্ডার গত নভেম্বরে বিয়ে করেছেন বলিউড তারকা হ্যাজেল কিচকে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button