
এবিএনএ : ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ১৫ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অতিরিক্ত এই অর্থ অনুমোদনের জন্য ২২টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করা হয়।
এসব দাবির মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাব আলোচনা হয়। বাকি মঞ্জুরি দাবিগুলো সরাসরি ভোটে প্রদান করা হয়। তবে সব ছাঁটাই প্রস্তাবই কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল ২০১৮ উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। গত অর্থ বছর শেষে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাজেটের চেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ চেয়েছে।
সম্পূরক বাজেটের ওপর মোট ২২টি দাবির বিপরীতে ১৭৩টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনা হয়। ব্যয় বরাদ্দের বিরোধীতা করে ছাঁটাই প্রস্তাব এনে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, সেলিম উদ্দিন, বেগম রওশন আরা মান্নান, স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজী, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম ওমর ও নূরুল ইসলাম মিলন।
সম্পুরক বাজেটের আওতায় ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিপরীতে ১৫ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে সর্বাধিক ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ১১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিদ্যুৎ বিভাগ খাতে বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। সবচেয়ে কম ৪ কোটি ১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা বরাদ্দ অনুমোদন পেয়েছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ।
এ ছাড়া বেশি বরাদ্দ পাওয়া অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে রয়েছে- স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ খাতে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ৬০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জননিরাপত্তা বিভাগে ১ হাজার ১০৯ কোটি ১১ লাখ এক হাজার টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৬৫৯ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ৪৭১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার টাকা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৩১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ খাতে ৩১১ কোটি ৫১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় খাতে ১৯৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় খাতে ১৭৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ খাতে ১৬২ কোটি ৬১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।এ দিকে সম্পুরক বাজেট পাসের আগে এ নিয়ে আলোচনা করেন সরকারি ও বিরোধীদল ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এর মধ্যে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের কড়া সমালোচনা করেন বিরোধীদল ও স্বতন্ত্র এমপিরা। তারা বলেন, ‘যখন বাজেট করা হয় তখন কোন হিসাব করে করা হয়েছিল। কারা সেসময় বাজেট তৈরি করেছিলেন।’
Share this content: