আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

১২’শ নারীর অশালীন ছবি যুবকের পেনড্রাইভে!

এবিএনএ : নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় আপনি হয়ত কাজ করছেন। পাঁচিল ঘেরা বাড়ি। ঘরোয়া পোশাকেই আপনি রয়েছেন। ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না,আপনার সেই ঘরোয়া পোশাক পরা অবস্থায় সবার অলক্ষে কেউ আপনাকে লেন্স বন্দি করছে। অথবা কেউ নিজের বাথরুমে। সেখানেও লুকোনো ক্যামেরায় আপনার ছবি তুলছে কেউ। তারপর সেই ছবি রেখে দিচ্ছে নিজের পেনড্রাইভে।
শুধু আপনি নন। আপনার আশেপাশের কয়েকশো বিভিন্ন বয়সের নারীর এরকম ছবি তুলে পেনড্রাইভে রাখত ৩০ বছরের কৃশানু বিশ্বাস। কখনও কারও বাথরুমের ছবি। কখনও বা নিছক রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার ছবি। এভাবে ১২’শরে বেশি এরকম ছবি মিলেছে কৃশানুর কাছে। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এই কাজ করলেও কেউ কোনও দিন বুঝতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পেনড্রাইভ হারিয়ে ফেলায় ধরা পড়ে যান তিনি।
কৃশানু একটি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে কাজ করে। কয়েক দিন আগে তার অফিসেরই এক সহকর্মী একটি পেনড্রাইভ খুঁজে পান। সেটা কার জানতে, সেই পেনড্রাইভ কম্পিউটারে লাগাতেই একটি ফোল্ডারের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই ফোল্ডার খুলতেই বেরিয়ে একের পর এক নারীর ছবি। প্রথমে তার সহকর্মীরা বিষয়টি বুঝতে না পারলেও অন্য এক নারী সহকর্মী রহস্যর পর্দা ফাঁস করেন। তিনি ওই ছবির মধ্যে কয়েকজন পরিচিত নারীকে শনাক্ত করেন যারা কৃশানুর প্রতিবেশী।
সেই নারী সহকর্মীর মাধ্যমেই খবর এবং সেই পেনড্রাইভ পৌঁছায় কৃশানুর প্রতিবেশী প্রীতম শূরের কাছে।
প্রীতম বলেন, পেন ড্রাইভ খুলে আমরা রীতিমতো হতবাক। এই পাড়া, পাশের পাড়ার হেন কোনও নারী নেই যার ছবি নেই এই পেন ড্রাইভে। কেউ বাড়ির পোশাকে, কেউ বাথরুমে— সেই অবস্থায় এই ছবি তোলা হয়েছে। লুকিয়ে নিজের আত্মীয়দেরও প্রায় নগ্ন ছবি তুলেছে কৃশানু।
গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই পর্ণশ্রী থানায় কৃশানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান এলাকার লোকজন। অবস্থা বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। তাকে না পেয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। যদিও অভিযুক্তের বাবা-মার দাবি তাদের ছেলে নির্দোষ।
পুলিশ কৃশানুর খোঁজ চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করেছে ওই পেনড্রাইভও। শুধু মোবাইল ক্যামেরা না অন্য কোনও ক্যামেরা ব্যবহার করে সে ওই ছবি তুলেছে সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযুক্ত এই সব ছবি নিজের পেন ড্রাইভে রাখত,না এই ছবি বিভিন্ন পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে ব্যবহার করত, সেটা জানা এখন বেশি প্রয়োজন।’

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button