আমেরিকালিড নিউজ

হোয়াইট হাউসের আকাশে রুশ নজরদারি বিমান!

এবিএনএ : নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ভেদ করে ১৬ বছর আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, পেন্টাগনে আছড়ে পড়েছিল আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিমান। মৃত্যু হয়েছিল অসংখ্য মানুষের। বুধবার ফের সেই আতঙ্ক অনুভব করল ওয়াশিংটনে। কড়া নিরাপত্তার বেড়াজাল এড়িয়ে পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস-সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের ওপর দিয়ে নির্বিঘ্নে উড়ে গেল রাশিয়ার নজরদারি বিমান। গুপ্ত তথ্যসংগ্রহ করছিল ওই বিমান। কিন্তু এই ঘটনা ফের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা জোরদার করেছে।

সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক যথেষ্ট উত্তপ্ত। তাই সংরক্ষিত এলাকায় রুশ বিমান কীভাবে ঢুকল, তা নিয়ে শুরু তোলপাড় মার্কিন নিরাপত্তা মহল। এমনিতে আমেরিকা, রাশিয়া-সহ ৩২টি দেশের মধ্যে ট্রিটি অফ ওপেন স্কাইস নামে একটি চুক্তি রয়েছে। যাতে অংশ নেওয়া দেশগুলি পরস্পরের আকাশসীমায় নজরদারি চালাতেই পারে। ওই চুক্তি অনুযায়ী নিরস্ত্র নজরদারি বিমান দিয়ে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়।

মার্কিন বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ও আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু রুশ বিমানবাহিনীর টুপোলেভ টিইউ-১৫৪ এ দিন পেন্টাগন, ক্যাপিটল হিল-সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের ওপর নজরদারি চালানোয় কিছুটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

বুধবার সকালে ক্যাপিটাল পুলিশ সতর্কবার্তা জারি করে, সকাল ১১টা এবং বেলা ৩টায় অনুমোদিত একটি বিমান সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকবে। তবে সেটি কোন দেশের, পুলিশ তা জানায়নি। ক্যাপিটালের ওপর দিয়ে সেটি যাবে বলে আগাম জানানো হয়েছিল। এও বলা হয় যে, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিমানটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে। পরে প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্তা বিমানটি রাশিয়ার বলে মেনে নেন। চুক্তি অনুযায়ী কাজ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, ক্রিমিয়ায় রুশ জবরদখল থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার কলকাঠি নাড়াকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button