এবিএনএ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ভোট পুনরায় গণনার জন্য হিলারির প্রচারণাশিবিরকে আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ পর্যায়ের একদল কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তবে সব অঙ্গরাজ্যের ভোট নয়, শুধুমাত্র উইকনসিন, মিশিগান এবং পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোট পুনরায় গণনার কথা তারা বলেছেন। এই তিন অঙ্গরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, বিজ্ঞানীদের একজন জে অ্যালেক্স হালদারম্যান। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান সেন্টার ফর কম্পিউটার সিকিউরিটি অ্যান্ড সোসাইটির পরিচালক তিনি। হিলারির প্রচার শিবিরকে তিনি বলেছেন, এসব কাউন্টিতে হিলারি খারাপ ফলাফল করেছেন কারণ কাগজের ভোট বা অপটিক্যাল স্ক্যানারের তুলনায় ইলেকট্রনিক ভোট কম পেয়েছেন তিনি। যা সন্দেহজনক।
হিলারির প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান জন পোদেসতা, শিবিরের জেনারেল কাউন্সেল মার্ক ইলিয়াসকে বিজ্ঞানীদের ঐ দল জানায়, উল্লেখিত কাউন্টিতে হিলারি কাগজে ভোটের তুলনায় ৭ শতাংশ ইলেকট্রনিকস ভোট কম পেয়েছেন, যা সম্ভবত হ্যাকের কারণে হয়ে থাকতে পারে।
ওই দলটি পোদেসতা ও ইলিয়াসকে বলেন, যখন তারা হ্যাকিংয়ের প্রমাণ পাচ্ছিলেন না, তখন তারা বিষয়টি স্বাধীনভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন মনে করেন।
হালদারম্যান, জন বোনিফেজ ছাড়াও একজন আইনজীবীও এই বিষয়ে জোর দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমকে এই বিষয়ে বার্তা পাঠালেও তাৎক্ষণিক কোনো জবাবে মেলেনি।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘হ্যাকিং’ প্রসঙ্গে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। এমনকি ওবামা প্রশাসনও অভিযোগ করেছিল, রাশিয়া ভোটারদের রেজিস্ট্রেশন তথ্যভান্ডারে ফাটল সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, নির্বাচনী ফলকে প্রভাবিত করা রাশিয়ার পক্ষে কার্যত অসম্ভব।
বিজ্ঞানী এই দলটির প্রাপ্ত তথ্য নিরীক্ষা করে দেখা হবে কি না, জানতে চাইলে হিলারির সাবেক এক সহযোগী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২৯০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট, আর হিলারি পেয়েছিলেন ২৩২ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। উইসকনসিন, মিশিগান এবং পেনসিলভানিয়াতে ইলেকটোরাল ভোট ছিল যথাক্রমে ১০, ১৬ ও ২০। প্রতিটিতে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।