আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রকে কম্বোডীয় প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ

এবিএনএ : প্রকাশ্য ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কম্বোডীয় প্রধানমন্ত্রী হান সেন। সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ক্রোধের সুরে বলেছেন, ‘দিন, সব সহায়তা বন্ধ করে দিন।’
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে হান সেনা কড়া ভাষায় বলেছেন, ‘সহায়তা বন্ধ করলে কম্বোডিয়ার সরকার মরবে না বরং একদল মানুষ মরবে, যারা আমেরিকার নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে।’
আগামী বছর কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ১৮ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সম্প্রতি দেশটির প্রধান বিরোধী দলকে সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করায় নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য প্রতিশ্রুত অর্থ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে কম্বোডিয়া শাসন করছেন হান সেন। তার শাসনমালে বিরোধী নেতা-কর্মী, সমালোচক ও স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা যেন বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে সরকারের সুপারিশে কম্বোডিয়ার বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেস্কিউ পার্টি (সিএনআরপি) বিলুপ্ত ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, নির্বাচনে সহায়তা বাবদ কোনো অর্থ দেবে না তারা।
সিএনআরপি তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার হরণের অভিযোগ এনেছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী হান সেন যেন আরো কঠোর মনোভাব দেখাতে শুরু করেছেন।
সরকারপন্থি নিউজ পোর্টাল ফ্রেশ নিউজ এক খবরে জানিয়েছে, গার্মেন্ট শ্রমিকদের এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হান সেন বলেছেন, সহায়তা বন্ধের যে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাকে তিনি স্বাগত জানান। সব সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে আগ্রহী হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
কম্বোডিয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্নতা খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। ২০১৪ সালে দেশটিকে ৭ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সম্প্রতি চীন বড় বড় প্রকল্পে কম্বোডিয়ায় বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। যে কারণে পশ্চিমাদের দমন-পীড়নের অভিযোগ কানে তুলছে না হান সেন সরকার।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button