
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে, সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচি, জাতীয় সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ২১ জুলাই শুরু হবে। তবে এর আগে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করা হবে।
স্থানীয় নির্বাচনে যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে ছাড় পেলে প্রবণতা বাড়ে। তাই আমরা এর লাগাম টেনে ধরতে চাই। তাদের বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কেউ এমপি, মন্ত্রী হয়ে দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাকে মনোনয়ন দেয়া নাও হতে পারে। এছাড়া কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হতে পারে। নানা রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খালেদা জিয়ার বিষয়ও বিচার বিভাগের বিষয়। ভোটের রাজনীতিতে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে তা নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। দেশের অর্থনীতির কথাও আমাদের ভাবতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডা দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, আইন বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
Share this content: