তথ্য প্রযুক্তিলিড নিউজ

স্মার্টফোন আসক্তিতে মস্তিষ্কের হতাশা ও উদ্বেগের সৃষ্টি!

এবিএনএ: স্মার্টফোন বা ইন্টারনেটে যেসব কিশোর-কিশোরী বেশি সময় কাটায় তাদের মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যা দেখে বোঝা যায় তাদের এ বিষয়ে আসক্তি রয়েছে এবং এর ফলে তাদের মধ্যে হতাশা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার রেডিওলজির অধ্যাপক ইয়ুং সুকের নেতৃত্বে এক দল গবেষক কিশোর-কিশোরীদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে এর প্রমাণ পেয়েছেন।

যেসব কিশোর-কিশোরীর মস্তিষ্কে ব্যাপকভাবে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে, দেখা গেছে তাদের সবাই স্মার্টফোন বা ইন্টারনেটে আসক্ত। ১৫ থেকে ১৬ বছরের ফোন বা ইন্টারনেটে আসক্ত ১৯ জন কিশোরের ওপর পরীক্ষাটি করেছেন সিউলের কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা যে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কী প্রভাব ফেলে? নিয়ন্ত্রিত দলে আরও ১৯ কিশোরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল, যারা একেবারেই দরকার না হলে ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই কিশোরদের তুলনায় আসক্তরা হতাশা, অবসাদ, উদ্বেগ, অনিদ্রা, অস্থিরতার অভিযোগ বেশি করেছিল। চিকিত্সকরা অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তুলেছিলেন, যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। বিজ্ঞানীরা, বিশেষ করে গামা অ্যামিনোবাটাইরিক অ্যাসিড বা জিএবিএবিএ’র পরিবর্তন লক্ষ্য করতে চেয়েছিলেন। জিএবিএ মস্তিষ্কের এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যেটি মস্তিষ্কের বার্তাগুলোর গতিকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া জিএবিএ’র দৃষ্টিশক্তি, আচরণ, মস্তিষ্কের আরও অনেক কাজ যেমন নিদ্রা, উদ্বেগ এগুলোর ওপর প্রভাব রয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটে আসক্ত কিশোরদের মস্তিষ্কে উচ্চমাত্রায় জিএবিএ আছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ বিষয়ে অভিভাবকদের উত্কণ্ঠিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিত্সার মাধ্যমে আসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button