বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ ইতিবাচক : তথ্যমন্ত্রী

এবিএনএ : মহাপরিচালকের পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পদত্যাগ করায় ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে জনমনে অনেক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি তার পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’

এ সময় বন্যা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘বন্যার পানি কি বাংলাদেশে এই প্রথম এলো? দেশে তো প্রতি বছরই বন্যা হয়, ঢাকা শহরেও প্রতিবছর পানি ওঠে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল যখন বুঝি বন্যা হয় নাই?’ এসময় ’৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় ও ২০০৪ সালের বন্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বহু মন্ত্রী-নেতার বাড়ির চারপাশে নোংরা পানি ছিল। এবং তারা গুলশান লেক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই তা ঘটেছিল।’ অবান্তর কথা বলা বিএনপি’র অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, অবান্তর কথা না বলে তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালে বরং জনগণ উপকৃত হবে, বলেন ড. হাছান।’

নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী দুঃখ করে বলেন, ‘কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়। তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর এবং সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনগুলোসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু এই অব্যবস্থা একদিনে হয়নি, দশকের পর দশক হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।’ এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমেরিকান চেম্বার অভ কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম)-এর পক্ষ থেকে ‘অ্যামচ্যাম কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন এওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণাদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button