এবিএনএ : সৌদি আরবের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ২০১৩ সালে বিয়ে হয় মার্কিন তরুণী ভিরার। এর পর থেকে তিনি সৌদিতেই থাকতেন। তাদের ঘরে রয়েছে চার বছরের এক মেয়ে সন্তান।কিন্তু স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় মেয়ের সামনেই প্রতিদিন যৌন নির্যাতন করতেন। এ ছাড়া মারধর লেগেই থাকত। এসব থেকে রেহাই পেতেই ২০১৭ সালে স্বামীকে ডিভোর্স দেন মার্কিন ওই তরুণী। তবে ডিভোর্স দেওয়ার পর স্বামীর ঘর ছাড়লেও মেয়ে ছিল স্বামীর কাছেই। দুজনেই মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে মামলা করেছিলেন। এ কারণে স্ত্রীর বিকিনি পরা একটি ছবি আদালতে পেশ করেন স্বামী। আর তাই ওই মামলার রায় চলে আসে তার পক্ষেই।
ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রী ভিরার একটি বিকিনি পরিহিত ছবি আদালতে পেশ করেন তার সাবেক স্বামী। এর পরই ইসলামিক আইন অনুযায়ী, আদালত জানিয়ে দেন, যেহেতু তিনি বিকিনি পরেছেন, তাই সাত বছর পর্যন্ত মেয়ের কোনো রকম দায়িত্ব নিতে পারবেন না। মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী, মায়ের এরকম খোলামেলা পোশাক পরা অপরাধ।
তবে সাবেক স্বামী তাকে নির্যাতন করতেন, তাই মেয়ে বাবার সঙ্গে থাকলে ক্ষতি হবে এ রকম প্রমাণ তিনি আদালতে পেশও করেছিলেন। কিন্তু তারপরও রায় নিজের পক্ষে নিতে পারেননি। এদিকে সাবেক স্বামী আদালতকে জানিয়েছেন, স্ত্রী মার্কিন নাগরিক। তাই যেকোনো সময় মেয়েকে ওই দেশে নিয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া মেয়েকে মানুষ করার মতো অর্থ ভিরার কাছে নেই।
ভিরা জানিয়েছেন, বড়দিনের ছুটিতে তিনি নিজের দেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু টাকা রয়েছে। আরও নানাভাবে তাকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। তার নামে যে বাড়িটি ছিল, সেটিও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়েকে ফিরে পাওয়ায় জন্য যতটা আইনি লড়াই প্রয়োজন তা চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন মার্কিন এই তরুণী। সম্প্রতি সৌদি আরবে নতুন আইন হয়েছে, ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েই একা বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না।