এবিএনএ: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন সেটা তরুণরাই বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার বিষবাক্যে আর একটি প্রাণও না ঝরুক।’ সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কোনো উস্কানিমূলক বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন পোস্ট দেখলে লাইক বা শেয়ার না করে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
‘গণজাগরণই পারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে গণজাগরণ নিয়ে এ ছায়া সংসদ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি গণজাগরণই পারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদের মাধ্যমে তরুণ সমাজে একটি অসাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরি হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখানে সরকারি দল গণজাগরণের পক্ষে এবং বিরোধী দল আইন প্রণয়নের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র নিহত হওয়ার পর গণজাগরণের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করা হলেও আজও আমরা পিতা-মাতার সাথে স্কুলছাত্রের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের চিত্র দেখতে পাই। কিন্তু না, আমাদের ভেতর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সব ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযোগ্যভাবে পালনের ঐতিহ্য রয়েছে। চিরায়ত ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার এই ঐতিহ্যের বিচ্যুতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার গণজাগরণ। এই গণজাগরণের সম্মুখসারিতে থাকবে আজকের এই তরুণরা। একইসাথে ধর্মীয় সহিংসতা রোধে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ইসলামিক স্কলার, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত ও জনপ্রতিনিধিসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে গণজাগরণের পক্ষে ও বিরোধী দল কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা সময়পোযোগী আইন প্রণয়নের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। প্রতিযোগিতায় বিরোধী দল কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদ প্রদান করা হয়।
Share this content: