
এবিএনএ: নতুন করে মিথ্যা দাবি তুললো মিয়ানমার। মিয়ানমারের দাবি সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু অংশ তাদের ভূখণ্ডের। তবে মিয়ানমারের এ দাবিকে ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যান করে আজ শনিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। এসময় মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যা ফেয়ারস ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল(অবসারপ্রাপ্ত) মো. খুরশেদ আলমের দপ্তরে মিয়ানমারের রাস্ট্রদূতকে তলব করা হয়। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন এ ব্যাপারে বলেন, এটা ভুলবশত হয়েছে। মিয়ানমার ভুলবশত সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডে দেখিয়েছে। ইতিহাস অনুযায়ী, সেন্টমার্টিন দ্বীপ কখনোই মিয়ানমারের অধীনে ছিল না। ১৯৩৭ সালে এটা বৃটিশ ভারতের অধীনে ছিল। বাংলাদেশ সরকারী এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ১৯৪৭ সালে সেন্টমার্টিন পাকিস্তানের অধীনে ছিল কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ এর মালিক হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে মার্চে যখন মিয়ামানের বিপক্ষে সামুদ্রিক সীমানা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে রায় হয় সেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয় সেন্টমার্টিন পুরোপুরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের। মিয়ানমার নতুন করে কিভাবে এটার দাবি তুলে? তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেছে তার কোন সন্দেহ নেই, বলেন ওই কর্মকর্তা। বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, খুরশেদ আলমের সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের প্রায় একঘণ্টার আলোচনা হয়েছে। সেখানে তিনি প্রতিবাদসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপের অনেক কাগজপত্র হস্তান্তর করেন।
Share this content: