
হরতাল চলাকালে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল এবং অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, দোকান-পাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমপির সমর্থক বিক্ষুদ্ধ লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করেন। সকালে হরতালের সমর্থনে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেন দুটি দীর্ঘ সময় অবরোধ করে রাখা হয়। এছাড়া পিকেটাররা বিভিন্ন সড়কের মোড়ে গাছ কেটে রাস্তার উপর ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সব সড়ক অবরোধ করে রাখে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এদিকে সকাল থেকেই এমপি লিটনের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা লাশ দেখার জন্য ভিড় করেন। এমপি লিটনের শ্যালক বদিউল কারেমীন বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর রংপুরে একটি জানাজা শেষে মরদেহ হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে গোটা সুন্দরগঞ্জ জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করছে। ঘটনার পর স্থানীয় অনেক বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আতিয়ার রহমান জানান, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাই আপাতত আটক ব্যক্তিদের নাম জানানো হচ্ছে না।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক জানান, লিটনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ একটি প্রতিনিধি দল রোববার রংপুর পৌছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমপি লিটনের লাশসহ হেলিকপ্টারে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রোববার ঢাকায় সংসদ ভবন এলাকায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
Share this content: