আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রীদের সমর্থন পেয়েছেন মে

এবিএনএ : দৌমায় বিদ্রোহীদের এলাকায় কথিত রাসায়নিক হামলার অভিযোগে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের সমর্থন পেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বৃহস্পতিবার ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সঙ্গে সম্মিলতিভাবে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্রিটেন অংশ নেবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার মে এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৈঠক করেন। আলোচনা শেষে তারা সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঐক্যমত পোষণ করেছেন। তবে সে ব্যবস্থা কী হবে তা জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মানবিক বিপর্যয় দূর করতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে এবং আসাদ সরকারকে আবারও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে বাধা দিতে মন্ত্রিসভা একমত হয়েছে।’
সিরিয়াকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য থেরেসা মেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিৎ বলেও জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।
গত শনিবার সিরিয়ায় গৌতায় রাসায়নিক গ্যাস হামলার অভিযোগ উঠেছে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জানিয়েছে। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার রাশিয়া জানিয়েছে, সিরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে মস্কো জবাব দেবে। বুধবার ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেছিলেন, ‘সিরিয়াকে লক্ষ্য করে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। প্রস্তুত থাক রাশিয়া। কারণ তার আসছে সুন্দর, নতুন ও চটপটে!’
তবে এই ঘোষণার একদিন না পেরুতেই ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘সিরিয়ায কখন হামলা হবে তা কখনোই বলিনি। শিগগিরই হতে পারে অথবা অতি শিগগিরই নাও হতে পারে।’ ট্রাম্পের সঙ্গে সুর দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও সিরিয়ায় সামরিক হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর আগের অবস্থান থেকে তার সরে আসারই ইঙ্গিত মিলছে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button