এবিএনএ: সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সামরিক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার নৌবাহিনী প্রধানের সচিবালয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী সিলেকশন বোর্ড-২০২৩ এ দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, বরং শান্তিতে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে।প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যেহেতু আমরা জাতির পিতার দেওয়া নীতি অনুসরণ করছি, তাই আমরা সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছি। কারণ, আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা। তাই সরকার সফলভাবে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করছে।’
জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হব না। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। আমাদের সরকার সফলভাবে এ ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- এ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’’
শেখ হাসিনা নৈতিকতা, ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে জ্ঞান, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দায়িত্ববোধ ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বাছাইয়ে বিচক্ষণ ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করার জন্য নির্বাচন বোর্ডকে নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্বের পদের জন্য আপনাদের এমন কর্মকর্তা বেছে নেওয়া উচিত যারা যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শী এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের বিচক্ষণতা প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছি। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ভাবমূর্তিও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হতে সক্ষম হয়েছে।’