এবিএনএ : তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার মিলে সুন্দরবন পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করতে এগিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের পাশ্বে রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে এই বন ধ্বংসে নেমেছে তারা। তিনি সুন্দরবনবিনাশী সকল অপতৎপরতা বন্ধে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে দাবি জানান।
আজ শনিবার সকালে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, বাংলাদেশের শেষ বন এটি। তবে এই বন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের সম্পদ। তাই সারা বিশ্বকে এই বন রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি পরিবেশবান্ধব হতো, সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি না করতো তা হলে তো সরকার দেশের স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের ভয় পেত না। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের যারা কনসালটেন্ট বিশেষজ্ঞ আছে তারাই কেবল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে কথা বলছে, সমর্থন করছে। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকলে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশই সুন্দরবনের পাশে এই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো। অপরদিকে সরকার নিজেই এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত। বৈজ্ঞানিক যুক্তি থাকলে তারা এই প্রকল্প নিয়ে জনগণের কাছে খোলামেলা কথা বলতে পারছে না। এই প্রকল্পের পক্ষে একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ নেই। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের সাম্প্রতিক সুন্দরবন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে এই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। এতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল মতিনসহ সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।