সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স, বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস

এবিএনএ: চার সপ্তাহ ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ফ্রান্স। আজ শনিবার দেশটির রাজধানী প্যারিসে কেন্দ্রস্থলে প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছে। এদিকে তাদের প্রতিহতে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। এছাড়াও ২১১ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। প্যারিসে প্রায় ৮০০০ পুলিশ এবং ১২টি সশস্ত্র বাহিনী নামানো হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ৯০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়ন করা হয়েছে। ৫ হাজার বিক্ষোভকারী চ্যাম্স-এলিসিতে জড়ো হয় এবং পুলিশের বেস্টনির প্রতিবাদ করলে তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। এই গ্যাস আগে ব্যবহৃত গ্যাসের তুলনায় শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডের সাংবাদিক অ্যালাইন লেকলার্ক জানান, আগের তুলনায় শনিবার বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা কম। বেশিরভাগই পুরুষ এবং বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে। সহিংসতার আশঙ্কায় নারী ও বৃদ্ধদের বিক্ষোভে রাখা হয়নি।
জ্বালানির কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফ্রান্সে গত ১৭ নভেম্বর থেকে চলছে ‘ইয়েলো ভেস্টস’ আন্দোলন। ফ্রান্সের ইতিহাসে গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। ক্রমাগত এ আন্দোলন আরও জোরালো হয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হতে থাকে। একইসঙ্গে সহিংস রূপ ধারণ করে তা। গত শনিবার (১ ডিসেম্বর) প্যারিসের রাস্তায় কয়েক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা হতে দেখা গেছে। সহিংসতায় প্রাণ হারায় তিনজন। ইয়েলো ভেস্টস আন্দোলনকারীরা হলুদ রঙের জ্যাকেট পরে রাস্তায় নামে। প্রতীকীভাবে হলুদ রঙ বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ ফরাসি আইন অনুযায়ী প্রত্যেক গাড়িতে হলুদ রঙের কাপড় থাকতে হয়।
এদিকে বিক্ষোভে আরও সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগেই জোরদার করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ এদুয়া ঘোষণা করেছেন, শনিবার আইফেল টাওয়ার খুলবে না। প্যারিসের চ্যাম্পস-এলিসিস-এ দোকান ও রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রাখার আহ্বান জানায় পুলিশ। বাইরে থাকা টেবিল-চেয়ারও সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। স্থগিত করা হয় বেশ কয়েকটি ফুটবল ম্যাচও। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, আন্দোলন চরমপন্থীদের হাতে চলে গেছে।
Share this content: