
এবিএনএ: আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নবনির্বাচিত সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু যেদিন ফিরে এসেছিলেন, সেদিন সবার মনে হয়েছিল, বিজয় পূর্ণতা পেয়েছে। তারপর ৪ নভেম্বর জাতিকে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। খামোশ রাজনীতি চাই না, প্রকৃত গণতন্ত্র চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি ইতিমধ্যে ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছেন, এটি তার দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনা। আমাদেরকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে। এ সময়েও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ঐক্যের নামে ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, সুব্রত চৌধুরী স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা চাই, রাষ্ট্রক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি থাকবে এবং বিরোধী দলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নেতৃত্ব দেবে। ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলামের কেন্দ্রহীন, নেতৃত্বহীন জোট গঠন করে ভোটের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলেন, কিন্ত এতে তারা সফল হতে পারেনি।
তিনি বলেন, একদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে শান্তির সুবাতাস এনেছিল, অথচ আরেকজন বিরোধী দলীয় নেত্রী পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে সারা দেশকে বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছিল। তাই এ নির্বাচনেও সামগ্রিকভাবে ৭০ সালের নির্বাচনের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেই মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ পুনর্গঠনের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। আর তখন থেকেই এ দেশে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র। দেশ স্বাধীনের পরেও যা এখনো অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আবার রাজাকার-আল শামসরা এ দেশে ক্ষমতায় এসেছিল, যাদের জিয়াউর রহমান রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। অথচ পৃথিবীর কোনো দেশেই পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে ভেজা বাংলার মাটিতে আর কখনো জাতীয় সংসদে স্বাধীনতাবিরোধীরা স্থান পাবে না।
সভার শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চারজন সদস্য বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ায় তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সংগঠনের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নূর তাপসের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনের আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, প্রাক্তন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Share this content: