আন্তর্জাতিকআমেরিকালিড নিউজ

সমালোচনার মধ্যেই যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী

এবিএনএ: সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই রিয়াদে সৌদির এই প্রভাবশালী যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। ওই কর্মকর্তার স্টিভেন মানচিন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী। খাসোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করার একদিন পরই তাদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ হলো। এই হত্যাকাণ্ডকে চরম ভুল বলেও বর্ণনা করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই হত্যাকাণ্ডে নির্দেশের অভিযোগের তীর সৌদি যুবরাজের দিকে। তবে হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে সৌদি।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, মানচিন ও যুবরাজ নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সন্ত্রাস দমন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর সৌদির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত মিডিয়া জানিয়েছে, তারা দুজন দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।মানচিন এমন এক সময়ে রিয়াদ গেলেন যখন বিশ্বের অনেক নেতৃবৃন্দই রিয়াদে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক সম্মেলন বর্জন করেছেন। খাসোগি হত্যাকাণ্ডের গ্রহণযোগ্য তদন্ত দাবি করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলো মারকেল। অপরদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দু’দেশের মধ্যে বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছেন। তবে সৌদি আরবের আঞ্চলিক মিত্র কুয়েত ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থন করেছে। এদিকে মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান মঙ্গলবার সংসদে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘নগ্ন সত্য’ তিনি বের করে ছাড়বেন। গত ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন জামাল খাসোগি। সৌদি যুবরাজের সমালোচক যুক্তরাষ্ট্রে  এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। শুরু থেকেই তুরস্ক এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদিকে দায়ী করে আসছিল। তবে সৌদি আরব প্রথমে অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ইতোমধ্যে দেশটির গোয়েন্দা উপপ্রধান ও যুবরাজের একজন দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করেছে। খাসোগি সৌদি যুবরাজের একজন কঠোর সমালোচক ও স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের একজন নিয়মিত কলামিস্টও ছিলেন তিনি।

Share this content:

Back to top button