
এবিএনএ : পুতিন-প্রীতি নিয়ে ইউরোপে চাপা একটা ক্ষোভ ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর। সম্প্রতি ব্রাসেলসে গিয়ে নিজেই ক্ষেপিয়ে দিয়ে এসেছেন ন্যাটো সদস্যদের। তার পর রাতারাতি সরে এসেছেন প্যারিস চুক্তি থেকে। তিনি যে মুক্ত বাণিজ্যের বিরোধী, সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন একাধিক বার।
ইউরোপে এই মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বন্ধু’ প্রায় নেই বললেই চলে। আজ তাই তিনি পোলান্ডে পা রাখতেই প্রশ্ন উঠে গেল— রাশিয়া, ফ্রান্স কিংবা জার্মানির আগে ট্রাম্প হঠাৎ এখানে কেন? জবাবে মার্কিন কূটনীতিকদেরই একাংশ বলছেন, পোলান্ডকে পাশে টেনে নিজের ‘বন্ধুভাগ্য’ যাচাই করে নিতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউস যদিও বলছে, এমনটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। শুক্রবার থেকে জার্মানিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠক রয়েছে। সপ্তাহের শেষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার প্রথম বার মুখোমুখি বসার কথা। জি-২০ বৈঠক যেখানে হবে, জার্মানির সেই সভাকক্ষের বাইরে লাখ খানেক ট্রাম্প-বিরোধী জমায়েতের আশঙ্কা করছে হামবুর্গ প্রশাসন। শিগগিরই ব্রিটেন সফরে যাবেন ট্রাম্প। সেখানেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা। মাসখানেক আগে ট্রাম্পের এই সফরসূচি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। সূত্রের খবর, তখন থেকেই সাজ সাজ রব পোলান্ডের ক্ষমতাসীন ডানপন্থী ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি-র অন্দরে। সেজে উঠেছে ক্রাসিনসকি স্কোয়ারও।
১৯৪৪ সালে নাৎসি দখলদারদের বিরুদ্ধে ওয়ারশ বিদ্রোহে প্রায় ২ লাখ পোলিশ নাগরিককে জীবন দিতে হয়েছিল। তাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধের সামনে আজই বক্তব্য রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অন্তত দুটি ক্ষেত্রে পোলান্ডকে এক নৌকার যাত্রী ভাবছে হোয়াইট হাউস। প্রথমত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাপ থাকা সত্ত্বেও অভিবাসন ঠেকাতে মরিয়া সে দেশের রক্ষণশীল সরকার। দ্বিতীয়ত, প্রতিরক্ষা খাতে সম্প্রতি নিজেদের জিডিপি-র ২ শতাংশ ব্যয় করতে রাজি হয়েছে পোলান্ড। মে মাসের শেষে ন্যাটোর বৈঠকে গিয়ে ট্রাম্প তো এই বরাদ্দ বৃদ্ধির কথাই বলেছিলেন।
Share this content: