
এবিএনএ : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিলকে পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে দোয়েল চত্বরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের আটকে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোয়েল চত্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। এসময় পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আন্দোলকারীদে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, উদীচী, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ছাত্র ঐক্য ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তারা রাজু ভাস্কর্যে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনকে অাটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার মারুফ হোসেন জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ওই ভাস্কর্য সরানোর কাজ হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আন্দোলকারীদে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ
বেশ কিছুদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। হেফাজতের এই দাবির নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী এক বিবৃতিতে বলেন, সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার একেবারেই বিপরীত।
অবিলম্বে এটি অপসারণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
Share this content: