এ বি এন এ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘উগ্র ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে’ পরাজিত করতে তার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রে যারা আসতে চায় তাদের জন্য নতুন একটি পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এর আওতায় ওই প্রার্থী পশ্চিমাদের সমকামিতাসহ উদার মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতা মতবাদে বিশ্বাসী কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।
বৈদেশিক নীতিবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নীতির সরাসরি ফল হিসেবেই জঙ্গিদের উত্থান হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করতে চায় এমন যেকোনো দেশের সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইতিহাস রয়েছে এমন দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করতে চান তিনি। তবে এসব দেশের নাম বলেননি তিনি। এর আগে অবশ্য সব মুসলিম দেশের নাগরিকদেরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা করলেও এ ব্যাপারে তার সামরিক নীতিও ঘোষণা করেননি ট্রাম্প।
রিপাবলিকান পার্টির এই প্রার্থী বলেন, ‘যারা আমাদের সংবিধানে বিশ্বাস করে না অথবা যারা ধর্মান্ধতা ও বিদ্বেষে বিশ্বাস করে, তাদের আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।’
এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য । বৈদেশিক নীতির বিষয়ে তার কোনো ধারণাই নেই। তার উদ্ভট মন্তব্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে আগের চেয়ে কম নিরাপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের মুখপাত্র ট্রাম্পের এ পরিকল্পনাকে ‘নৈরাশ্যবাদী পরিকল্পনা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই তথাকথিত পরিকল্পনা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার মতো নয়।’