এবিএনএ: বিশ্বের নানান দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা মার্কিন সরকার নিজ দেশেও নির্মমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বলে কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনে নামা দেশটির শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই।
কাদের আরও বলেন, আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারব না? রবিবার ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে। আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারব না?
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই, এমন কথা তো আমরা বলিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে একটা অস্থিরতা চলছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের চাপে আছে সরকার। ‘যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।’
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।