৪৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব-মুশফিক

এবিএনএ : সাকিব আল হাসানের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের জুটিটা বেশ মানিয়ে গেছে। ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ৩৫৯ রানের এক অনবদ্য জুটি গড়লেন সাকিব ও মুশফিক। যা ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশের আগের রেকর্ড। বাংলাদেশের পক্ষে যেকোনো উইকেটে এটিই এখন সর্বোচ্চ জুটি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় ৩১২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস।
দুই বছরেরও অধিক সময় পর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিকুর রহিম। এটি তার চতুর্থ টেস্ট শতক। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান সাকিব আল হাসান। এর আগে ৩ হাজার রানের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখান সাকিব। ইতিহাসের ১৪তম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ হাজার রান ও দেড়শ’ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন দ্বিতীয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিবের পর ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাটছিলেন মুশফিকও। ধীরে সুস্থে এগোচ্ছিলেন টাইগার দলপতি। কিন্তু ইনিংসের ১২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে বোল্টের শিকার হন তিনি। বোল্টের বলে ওয়াটলিংয়ের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৫৯ রান করেন মুশফিক। ফলে ভেঙে যায় ৩৫৯ রানের বড় পার্টনারশিপটি।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১৭ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান। নেইল ওয়াগনারের বলে বোল্ড হন তিনি।
১৯৭৩ সালে ডানেডিন টেস্টে চতুর্থ উইকেটে ৩৫০ রান যোগ করেছিলেন পাকিস্তানের আসিফ ইকবাল ও মুশতাক মোহাম্মদ। এটি ছিল নিউজিল্যান্ডের মাঠে সফরকারী দলগুলোর সর্বোচ্চ জুটি। ৪৪ বছর পর পুরোনো এ জুটির রেকর্ড ভাঙলেন সাকিব-মুশফিক।
যেকোনো উইকেটে প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি রান তোলায় টেস্ট ইতিহাসে সাকিব-মুশির এই জুটি থাকল ১৪ নম্বরে। যে তালিকায় সবার ওপরে আছে ১৯৩৪ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বর্যান্ডম্যান-পন্সফোর্ডের ৪৫১ রানের জুটিটি।
কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। আগের রেকর্ডটি ছিল জুনাইদ সিদ্দিক ও তামিম ইকবালের (১৬১)।
Share this content: