জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ বিবেচনায় নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

এবিএনএ : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে জনমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতকল্পে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রতিবদ্ধ। সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জনমানুষের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ এর প্রবর্তন করার পকিকল্পনাও বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা হোক। সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। বুধবার সংসদের চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কশিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগ প্রদান করায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের পবিত্র সংবিধানের প্রতি অনুগত থেকে নতুন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করি। সরকারও নির্বাচন কমিশনকে সকল ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে ম্যাজিষ্ট্রিয়াল ক্ষমতা প্রদানের বিষয় নিয়ে প্রায়শই আর একটি বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালানো হয়। অথচ এক্ষেত্রে আইনের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, যারা ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতা প্রদানের বিষয়ে প্রস্তাব করেন, তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা নয়, প্রকারান্তরে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করাই তাদের অভিষ্ট লক্ষ্য। এ সময় শেখ হাসিনা ২০০১ সালে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এলাকা থেকে বিতারণ/ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও নির্যাতন করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করার বিবরণ তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের অবিচল আস্থা ও অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন অপশক্তিই বাংলাদেশের এ গণতান্ত্রিক ধারার উন্নয়ন অভিযাত্রার পথকে রুদ্ধ করতে পারবে না। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আপামার জনসাধারণকে সাথে নিয়ে আমরা আমাদের পবিত্র সংবিধান, গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সমূহের মর্যাদাকে সমুন্নত রেখেছি, ভবিষ্যতেও রাখবো ইনশাল্লাহ। তারই ধারাবাহিকতায় জনমানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতকল্পে আমরা নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।

Share this content:

Back to top button